নিউজ ডেস্ক:
ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর আলী এবং তার স্ত্রী সেলিনা আলীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার আদালতের সমনে হাজির না হওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর পরোয়ানা জারির এ আদেশ দেন বলে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফারুকুর রহমান জানান।
মামলার নথির বরাত দিয়ে ফারুকুর রহমান বলেন, ‘সরকারি জমির ওপর ভবন নির্মাণ করে ফ্লোর স্পেস বিক্রি বাবদে বাদীর কাছ থেকে ২ কোটি ৯২ লাখ ৮২ হাজার টাকা গ্রহণ করেন আসামিরা। ২০১৫ সালে ওই ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রেশন করে দেয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে বাদীকে বার বার ঘোরাতে থাকেন। এ কারণে মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।’
সোমবার সমন জারিকারক মো. হানিফুর রহমান মজনুর উপস্থিতিতে শুনানির পর বিচারক আদেশে বলেন, ‘সমন বোরাক ভবনের প্রবেশ পথে জারি হয়েছে। আসামিরা আদালতে হাজির হন নাই। এ অবস্থায় বাদীপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করা হল। আসামিদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা হল।’
আসামিরা আদালতে হাজির না থাকলেও তাদের আইনজীবী ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি গাজী মো. শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে নূর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা সাজানো মামলা। সরকারি জায়গা ইজারা নিয়ে ভবনটি করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ইজারা নেওয়ার সময় থেকে ৩০ বছরের মধ্যে নিবন্ধন না করলে ৩০ শতাংশ বেশি টাকা দিতে হয়। এটা নিয়েই ঝামেলা তৈরি হয়েছে। তারা ফ্ল্যাটের পজিশন নিয়েছে, সেটা ভোগ করছে। কিন্তু সময় মত এর রেজিস্ট্রেশন করেনি। ওই প্রকল্পে আরো ফ্ল্যাট গ্রহীতা আছেন, তাদের ফ্ল্যাট সময়মতো নিবন্ধন করা হয়েছে। সময়মত রেজিস্ট্রেশন না করায় তাদের (বাদী) অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। এই অতিরিক্ত টাকাটা তারা আমাদের দিতে বলছেন। কিন্তু রেজিস্ট্রেশনের টাকা তো আমার দেয়ার কথা না। আমরা আদালতের নির্দেশনা জেনেছি। এখন আদালতে জামিন নেব, বিষয়টি আইনগতভাবেই মোকাবেলা করব।’
প্রসঙ্গত, ঢাকার পরীবাগে নূর আলীর বোরাক রিয়েল এস্টেটের বানানো ইউনিক হাইটসের একটি ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিরোধের জেরে গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা করেন জালাল আহমেদ স্পিনিং মিল ও শাহ ফতেউল্লাহ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ।
মন্তব্য করুন